মঙ্গলবার ১৪ অক্টোবর ২০২৫ - ১৮:০৭
শক্তির মাধ্যমে শান্তি: মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার নতুন কৌশল

আমেরিকা যেখানে পারছে, সেখানে পেশিশক্তির জোরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করছে, আর যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ব্যবহার করছে হাসি আর মখমলের দস্তানা।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়োদে ক্ষমতায় এসেই শক্তি ও চাপ প্রয়োগের কৌশলের মাধ্যমে বিশ্ব ব্যবস্থায় পতনমুখী মার্কিন সাম্রাজ্যের পুনর্জাগরণ প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।

ট্রাম্পের মিশর সফর ও “শক্তির মাধ্যমে শান্তি”র বার্তা
সম্প্রতি মিশরে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যার উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাতের অবসান ঘটানো। ওই বৈঠকের পর হোয়াইট হাউসের সরকারি এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে ট্রাম্প ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর একটি ছবি প্রকাশ করা হয়। ছবিটির শিরোনাম ছিল—“Peace Through Strength” বা “শক্তির মাধ্যমে শান্তি”।

এই বার্তাটি শুধু একটি স্লোগান নয়, বরং নির্দেশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে এক নতুন ধারা সূচিত হয়েছে। ট্রাম্প এখন এমন এক আমেরিকার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরতে চাইছেন, যে দেশ সামরিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতার জোরে বিশ্বে স্থিতিশীলতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম।

এই পরিবর্তন দেখায়, যুক্তরাষ্ট্র আগের মতো দীর্ঘমেয়াদি সামরিক হস্তক্ষেপ বা ক্লান্তিকর কূটনৈতিক আলোচনায় আর আগ্রহী নয়। বরং এখন তারা এমন “শান্তি পরিকল্পনা” উপস্থাপন করছে, যার ভিত্তি হলো সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ। ট্রাম্প এই কৌশলকে ব্যক্তিগতভাবে দেখছেন নিজের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার হিসেবে— এমনকি তিনি আশা করছেন, এর মাধ্যমে একদিন নোবেল শান্তি পুরস্কারও পাবেন।

ট্রাম্পের প্রেরণা: নোবেল পুরস্কার ও ইতিহাসে নাম লেখানো
ট্রাম্প প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন যে তিনি নিজের নেতৃত্বে এমন এক উত্তরাধিকার রেখে যেতে চান, যা তাঁকে ইতিহাসে “শান্তি সৃষ্টিকারী প্রেসিডেন্ট” হিসেবে চিহ্নিত করবে। তিনি একাধিকবার দাবি করেছেন, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কারের যোগ্য।

ট্রাম্পের মতে, তাঁর প্রশাসন বেশ কয়েকটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছে — যেমন ইসরায়েল–ইরান, কম্বোডিয়া–থাইল্যান্ড, সার্বিয়া–কসোভো, কঙ্গো–রুয়ান্ডা, ভারত–পাকিস্তান, মিশর–ইথিওপিয়া এবং আর্মেনিয়া–আজারবাইজান। তিনি বলেন, এসব ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টা কোটি কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।

তিনি নিজেই বলেছেন, “আমি এই কাজগুলো নোবেল পুরস্কারের জন্য করিনি; আমি করেছি মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য।”

তবে তাঁর নোবেল-অভিলাষ স্পষ্ট। যদিও অধিকাংশ বিশ্লেষক মনে করেন তাঁর পুরস্কার পাওয়া সম্ভাবনা অল্প, তবু ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা অক্লান্তভাবে চেষ্টা করছেন তাঁকে “শান্তির নায়ক” হিসেবে ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত করতে।

দর্শন ও কৌশল: “শক্তির মাধ্যমে শান্তি”
“Peace Through Strength”—এই পুরনো স্লোগানটি আবার হোয়াইট হাউসের সরকারি নীতিবাক্য হিসেবে ফিরে এসেছে। এই তত্ত্বের মূলে রয়েছে এক বাস্তববাদী ধারণা—শক্তি প্রদর্শন ও আক্রমণক্ষম প্রস্তুতি থাকলেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।

ট্রাম্প এই তত্ত্বকে পুনরুজ্জীবিত করে আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতিতে এমন একটি রূপরেখা স্থাপন করেছেন, যেখানে সামরিক হুমকি ও অর্থনৈতিক চাপ আলোচনার প্রধান অস্ত্র।

এরই প্রতীকী উদাহরণ হলো ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ট্রাম্পের আদেশে আমেরিকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে “Department of War” রাখা। তাঁর যুক্তি ছিল: “‘ডিফেন্স’ বা ‘প্রতিরক্ষা’ শব্দটি খুবই নিষ্ক্রিয় শোনায়। আমরা শুধু প্রতিরক্ষা করব না, প্রয়োজনে আক্রমণও করব।”

যদিও সমালোচকেরা এই সিদ্ধান্তকে “অপ্রয়োজনীয় ও প্রচারণামূলক প্রদর্শন” বলেছেন, তবু এর রাজনৈতিক বার্তা ছিল স্পষ্ট—আমেরিকা এখন শক্তি প্রয়োগে দ্বিধাহীন।

একজন ডেমোক্র্যাট সিনেটর বলেন, “ট্রাম্প প্রকৃত নিরাপত্তা জোরদার নয়, বরং রাজনৈতিক ফায়দার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করছেন।”

এই নতুন কৌশল এমন এক ন্যারেটিভ তৈরি করছে যেখানে আমেরিকার বৈদেশিক হস্তক্ষেপ “আধিপত্য” নয়, বরং “শান্তি রক্ষার নৈতিক দায়িত্ব” হিসেবে উপস্থাপিত। ট্রাম্প চান মানুষ বিশ্বাস করুক, যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি যেখানেই হোক—তা বিশ্বশান্তির স্বার্থেই অপরিহার্য।

ইরান অধ্যায়: পরোক্ষ আলোচনা থেকে আগাম হামলা
ট্রাম্পের “শক্তির মাধ্যমে শান্তি” নীতির সবচেয়ে প্রকাশ্য উদাহরণ ইরান। দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই ওয়াশিংটন ইরানের সঙ্গে পরোক্ষ আলোচনার চেষ্টা শুরু করে। প্রথম মেয়াদে পারমাণবিক চুক্তি (JCPOA) থেকে বেরিয়ে গিয়ে “সর্বোচ্চ চাপ” নীতি নেওয়ার পর এবার ট্রাম্প এক নতুন “চুক্তি”র সম্ভাবনা খুঁজছিলেন। কিন্তু তেহরান তার অবস্থান থেকে একচুলও সরেনি। ফলে হঠাৎ নীতি বদল হয়। সামরিক বিকল্প “টেবিলের ওপর” থেকে “কার্যকর পদক্ষেপে” রূপ নেয়। ইসরায়েলি অনুমোদনে এবং মার্কিন প্রত্যক্ষ সহায়তায় ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক কেন্দ্র—ইসফাহান, নাতাঞ্জ ও ফোর্ডো—তে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো হয়।

কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প টেলিভিশনে ভাষণ দিয়ে ঘোষণা দেন, “ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্য নিরাপদ।”

তিনি বলেন, এই আগাম হামলার উদ্দেশ্য “শান্তি প্রতিষ্ঠা”, কারণ “হুমকি ধ্বংস হলেই শান্তি আসে।” এমনকি তিনি ইরানকে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিচুক্তি করার আহ্বান জানান।

ভারত–পাকিস্তান: অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি
আরেকটি ক্ষেত্র যেখানে ট্রাম্প নিজেকে “শান্তির নায়ক” হিসেবে উপস্থাপন করেছেন, সেটি হলো ভারত–পাকিস্তান সংঘাত।

কয়েক মাস আগে দুই দেশের সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, এবং উভয় পরমাণু শক্তিধর দেশ একে অপরের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধ থামিয়ে দেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দিল্লি ও ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ার করেন— “যদি যুদ্ধ না থামাও, আমি তোমাদের পণ্যের ওপর ১০০ থেকে ২০০ শতাংশ শুল্ক বসাব।”

ট্রাম্পের মতে, এই এক কথাতেই উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। তিনি বলেন, “আমি যদি শুল্ক না বসাতাম, তাহলে যুদ্ধ চলতেই থাকত।”

তবে ভারতের পক্ষ থেকে এই দাবিকে ভিত্তিহীন বলা হয়েছে। নয়াদিল্লির মতে, যুদ্ধবিরতি হয়েছিল দুই দেশের সামরিক কর্তৃপক্ষের সরাসরি আলোচনার ফল। অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ প্রকাশ্যে ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ট্রাম্প একটি পরমাণু যুদ্ধ ঠেকিয়েছেন; তিনি সত্যিই শান্তির মানুষ।”
এমনকি পাকিস্তান তাঁর নাম নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রার্থী হিসেবেও প্রস্তাব করেছে।

এভাবে ট্রাম্প অন্তত এক পক্ষের স্বীকৃতি পেয়ে নিজেকে “দ্রুত ও কার্যকর শান্তি সৃষ্টিকারী” হিসেবে প্রচার করতে সক্ষম হন—যদিও অপর পক্ষ (ভারত) তাঁর ভূমিকা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রচেষ্টা: শার্ম আল শেখ সম্মেলন
ইসরায়েল–ফিলিস্তিন সংঘাত ট্রাম্পের “শক্তির মাধ্যমে শান্তি” কৌশলের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাক্ষেত্র। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধ দুই বছর পরও থামেনি।

ট্রাম্প, যিনি বাইডেন প্রশাসনকে “দুর্বলতার জন্য দায়ী” বলে সমালোচনা করেছিলেন, এবার সুযোগ পান নিজেকে “মুক্তিদাতা” হিসেবে প্রমাণের। কায়রোর সহায়তায় হোয়াইট হাউস আয়োজন করে “গাজা শান্তি সম্মেলন”-২০২৫ যা মিশরের শার্ম আল শেখে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩৬টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও কূটনীতিকরা অংশ নেন।

সম্মেলনের আগে ট্রাম্প টিমের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ৪৮ জন বন্দিকে মুক্তি দেয় এবং ইসরায়েল সাময়িকভাবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে।

এই চুক্তিকে আন্তর্জাতিক মহল “সতর্ক আশাবাদী পদক্ষেপ” হিসেবে স্বাগত জানায়। সম্মেলনে ট্রাম্প, মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এবং কাতারের আমির একটি গোপন “গাজা পুনর্গঠন ও নিরাপত্তা” চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

ট্রাম্প দাবি করেন, ইসরায়েল ও আরব দেশগুলো তাঁর প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। ইসরায়েলি পার্লামেন্টে বক্তৃতা দিয়ে তিনি ঘোষণা করেন, “এই দীর্ঘ ও রক্তাক্ত যুদ্ধ শেষ হয়েছে। এখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির যুগ শুরু।”

হেজিমনি পুনরুদ্ধার: নতুন আমেরিকান আত্মপ্রতিষ্ঠা
গত এক বছরে ট্রাম্পের সব পদক্ষেপের সারমর্ম হলো—আমেরিকার বৈশ্বিক আধিপত্য পুনরুদ্ধার। তিনি বিশ্বাস করেন, বাইডেন প্রশাসনের আমলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও মর্যাদা ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছিল, এবং এখন সময় এসেছে সেটি পুনর্গঠনের। সেই লক্ষ্যে ট্রাম্প বিভিন্ন অর্থনৈতিক, সামরিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছেন—কখনো শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, কখনো যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতা করে।

এই কৌশলের মাধ্যমে তিনি বিশ্বকে দেখাতে চান, “আমেরিকা এখনো সবচেয়ে প্রভাবশালী শক্তি।” এটি বিশেষভাবে চীনের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা, যাকে ট্রাম্প “নতুন বিশ্বব্যবস্থার প্রতিদ্বন্দ্বী” হিসেবে দেখেন।

দেশের ভেতরেও ট্রাম্প “আমেরিকান ঐতিহ্য” পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি বাইডেন প্রশাসনের সেই আদেশ বাতিল করেছেন, যার মাধ্যমে গৃহযুদ্ধকালীন কনফেডারেট জেনারেলদের নামে থাকা সেনাঘাঁটিগুলোর নাম পরিবর্তন হচ্ছিল। ট্রাম্পের মতে, “আমেরিকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রাজনীতির চাপে বদলানো উচিত নয়।”

এভাবে তিনি অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় ক্ষেত্রে “শক্তিশালী আমেরিকা”র পুনর্গঠন বার্তা দিতে চাইছেন। তবে পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্পের এসব পদক্ষেপ মূলত প্রচারমূলক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক।

“Department of War” নামকরণ, পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় নাটকীয় বৈঠক, ভারত–পাকিস্তানকে শুল্ক হুমকি, গাজা সম্মেলনে তড়িঘড়ি চুক্তি—সবই তাঁর আত্মপ্রচারের অংশ।

সমালোচকেরা বলেন, ট্রাম্পের নীতি আগের মার্কিন হস্তক্ষেপবাদী নীতিরই পুনরাবৃত্তি—শুধু ভাষা ও উপস্থাপন বদলেছে।

শান্তির নায়ক, নাকি ক্ষমতার অভিযাত্রী?
ট্রাম্পের মতে, “শান্তি তখনই টিকে থাকে, যখন শত্রুরা তোমার শক্তিকে ভয় পায়।”

তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ এই তত্ত্বের বাস্তব পরীক্ষা। গাজা যুদ্ধবিরতি, ভারত–পাকিস্তান সংঘাত থামানো, ইরানের বিরুদ্ধে হামলা, ইউক্রেন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ—সবকিছুই তিনি “শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রমাণ” হিসেবে উপস্থাপন করছেন।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—বোমা ও নিষেধাজ্ঞার ছায়ায় আনা শান্তি কি সত্যিই ন্যায্য ও স্থায়ী হতে পারে? ইতিহাস বলছে, অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ অনেক সময় বিপরীত ফল আনে।

দোহা ও ইউক্রেনের মতো উদাহরণগুলো প্রমাণ করে, সব সংঘাত শক্তি দিয়ে নয়, বরং ন্যায় ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে মেটে।

অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর মতো মিত্রদের মানবাধিকার লঙ্ঘনে ট্রাম্পের নীরবতা দেখায়, তাঁর নীতি বাস্তবে “শান্তি নয়, বরং স্বার্থকেন্দ্রিক শক্তির রাজনীতি।”

শেষ পর্যন্ত, ট্রাম্পের বিশ্বাস—শান্তি ও শক্তি একই মুদ্রার দুই পিঠ। কিন্তু সেই মুদ্রা বাস্তব রাজনীতির মাঠে কোন পিঠে পড়বে—শান্তির, নাকি ক্ষমতার—তা সময়ই বলবে।

আমেরিকা এখন এমন এক পথে হাঁটছে যেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামেই ক্ষমতার প্রদর্শন চলছে। এটি এক বৃহৎ জুয়া—যার ফলাফল নির্ধারণ করবে, এই যুগের ইতিহাসে ট্রাম্প “শান্তির নায়ক” হয়ে থাকবেন, নাকি “ক্ষমতার অভিযাত্রী” হিসেবে স্মরণীয় হবেন।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha